বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

খাসিয়ামারাতে সেতুর দাবি

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের লক্ষীপুর ইউপির খাসিয়ামারা নদীতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন সাত ইউপির মানুষ। শুষ্ক মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পাড়ি আবার বর্ষা মৌসুমে নৌকার উপর নির্ভর করতে হয়। তাই সব মৌসুমে স্বস্তিতে চলতে নদীর উপর সেতু চান স্থানীয়রা।

দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর, নরসিংপুর, বাংলাবাজার, বোগলা, সুরমা ইউপি ছাড়াও ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ও ইসলামপুর ইউপির মানুষ সুনামগঞ্জ সদর ও দোয়ারাবাজার এবং ছাতক উপজেলা সদরে এ পথে যাতায়াত করতে দেখা যায়। নদীতে ৩০০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো দিয়ে সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান, গ্যাস চালিত সিএনজি অটোরিকশা পার হয়।

লিয়াকতগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী আলেয়া বেগম ও ফয়জুর রহমান বলেন, প্রতিদিন সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করলেও বর্ষায় ভোগান্তি বেড়ে যায়। এ নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে জীবনমানের উন্নয়ন ও ভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্টদের কাছে সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।

সাঁকোর টোল আদায়কারী সাকিল আহমদ বলেন, নদীতে বছরে ৪ মাস নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার হয়। পানি কমে গেলে বাঁশের মাচান দিয়ে সাঁকো তৈরি করি। এ সাঁকো দিয়ে প্রায় ৮ মাস মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। এতে খরচ বাদে সামান্য লাভ হয়। এ নদীর উপর সেতু নির্মাণ জরুরি।

স্থানীয় কামাল উদ্দিন, আব্দুল কাদির বলেন, প্রতিদিন শত শত যান সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করে। সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষায় খাসিয়ামারা নদীতে নিজেদের উদ্যোগে এটি নির্মাণ করেছি। সাঁকোর খরচ হিসেবে সামান্য টোল আদায় করি। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরীজীবীরা জরুরি কাজে সাঁকোটি ব্যবহার করেন।

লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল হক বলেন, এ নদীর উপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় সাত ইউপির মানুষ সাঁকো ব্যবহার করছে। মানুষের সুবিধার্থে প্রতি বছর এটি নির্মাণ করেন এলাকাবাসী। সেতু নির্মাণের জন্য সার্ভে করা হলেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। সেতু হলে চলাচলকারীদের অর্থ ও সময় বেঁচে যেত।

দোয়ারাবাজার উপজেল প্রকৌশলী হরজিৎ সরকার বলেন, খাসিয়ামারা নদীর উপর সেতু নির্মাণের লক্ষে ঢাকা থেকে সংশ্লিষ্টরা এসে সার্ভে করে গেছেন। এর প্রক্রিয়া কোথায় আছে জানা নেই।

সুনামগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল আহমদ বলেন, খাসিয়ামারা নদীর উপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা এলজিইডির রয়েছে। কিন্তু এখনো কার্যকর কিছু হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com